কবি ঋজু রেজওয়ানের নতুন বই ‘অন্তর [বর্তী] গণিতার ∙ফেরোমন’ থেকে কবিতা
ব্যাটা ‘অনা’যত সক্ত—সূর্য! রইয়া রইয়া অপূর্ণই;
চিকনা চিকন রোদ্দুরের
ফালিফালি আলপনা পনা!
নাগরিক বিপ্রতীপে...
নির্ঝর আলোর পরম্পরা
পড়া।
ভুলে যাওয়া স্থবির স্টেশন;
তার—
হায়ারোগ্লিফিক হাসি,
সব রিনরিন, খিলখিল হাসি!
অন্ধকারের উরুত—
অ্যালগরিদমে মেপে নিই,
ছাদহীন ঘরের বিলাস;
সুদীর্ঘ দিনের ঠোঁট—
গোলাপী স্তনের পাশে
কড়াইয়ের তলার কুচ/কুচে
কালো লম্বা ফ্রগটায়—
বিড়ালের করুণ ক্রন্দন।
আরও কত কী বিন্যস্ত!
পুঞ্জমেঘের রহস্য! আর,
জ্যামিতিক দেহে/দহে...
দিন বাই দিন মরিতেছে
মলিন সন্ধ্যার নক্ষত্ররা।
অন্ধকারের দ্রাঘিমা—
প্রকট আলোকে বিছাইছে...
‘অনা’দির মায়াজাল।
প্রকৃত আমি, বিন্দু
পূর্বমাণ ১৩.৮ বিলিয়ন—
রহস্য (আবৃত) পুঞ্জীভ‚ত
[বিন্দু] গুরুভার!
বিস্ফোরিতবীর্যপাত—
যাত্রার শুরুতে... রুপান্তর—
পারমাণবিক কণার রাজশ্রী
বাঁধা আর রাধা উপেক্ষা
করেই
ছুটছে তো ছুটছেই—
মিলিয়ন/বিলিয়ন!
ফ্যালোপিয়ান টিউবে...
লক্ষাধিক বৎসর
চল—তে... চল—তে...
অ্যাম্পুলার গ্যালাক্সিতে...
রাজশ্রী—হাইড্রোজেন মেঘে সঙ্গমজঙ্গমে
জাইগোট হয়ে যাই।
অতঃপর—একটা প্রোটন...এ ইলেকট্রন;
নিত্যকার নিউট্রনে বিভাজিত
আমিসমূহে...
ব্লাস্টুলা, গুসস্টুলা,
মোরুলায়—তৈরী হই!
হৈ/হৈ... বীন ছায়াপথে
আমার প্রতিস্থাপিত
নিউক্লিয়াসে... ভাজ্য
হতে হতে আমিই—
নিউক্লিয়ন—আদি ও অন্ত। প্রথমত
বিন্দু।
প্রস্থ ছাড়া দৈর্ঘ্যে... বিন্দুর সংঘর্ষ
অতি দুঃখের লাইন— প্রস্থ ছাড়া দৈর্ঘ্য!
যার—কোনো অংশ নেই!
প্রস্থের নিকট গ্রহেই
অপরাপর সংগীত বাজছে।
লাইনের প্রান্তগুলি—বিন্দুর একটি সরল রেখা!
কিন্তু, নিজেরউপর—
সমানে...
সমান সমগ্রগুলির
যোগ ও বিয়োগ যাই হোক—সমান নশ্বরদিন।
যেখানে তোমার বাস—স্থানাঙ্কগুলিও... সুস্পষ্ট
কবরের কাদামাটি—
অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ
জুড়ে... চিরবিশ্রামের ঘর!
লাজুক সময়—আমার শক্তির গর্ভবতী
বিশ্বে...
মধ্য রাতের অসুস্থ মাত্রা!
খুলির ভেতর কার—
কণার সঠিক বেগ!
স্থানের তরঙ্গ মাখে...
অতিরেক ঘনিষ্ঠ সংযোগ।
কৌণিক দূরত্বে... পদার্থের
সংঘর্ষের মতোই...
উত্তপ্ত, জ্বলতে থাকে...
হেলা, অবহেলা—হাতবাড়াও...হাতনাড়াও।
অসীমের মাঝে সসীম
মুক্ত আয়াতের...
কোনো উদ্দেশ্যই... পৃথক
করার নয়!
এবং তুমিও তাই! বিগতবিনয়
রাখি—
মহাবিশ্বের অসীম
কেন্দ্রে... কেন্দ্রে;
একান্ত আমি-ই ভর।
চাই—পালাতে যেখানে, সেখানেই...
অসীমে... অসীম!
আলেথিয়ার বিমূর্ত মূর্তে...
লখীনৃত্য করে...
একক শক্তির কণা! তারপরও
কিছু—
সাদা টিউলিপ প্রান্তে...
ইলেকট্রনও—
ঠাকুরমার ঝুলিতে...!
কিছু নেই—শুধু ঝোলাভরা শিশুবেলা
সর্বদা পালিয়ে যায়;
যার কোনো কোয়ার্কও নেই
চারপাশে।
ইঞ্চি আঠারো মাপের অসীমতা
খোলে
আরব্য রজনি! আর—
আইভরি রোজ উন্মোচন করে...
Fifth dimensions
এর মাধ্যমে... Tenth dimensions.
‘অসীম সংখ্যক অসীমতা’
বিভিন্ন আকার
কিছু হতে পারে...
জরিতে মোড়ানো ফুলদানিতে।
ফ্যামিলি সাইজ...
অসীমে... যার ঘর, ধুলো
জমে ছায়পথ;
রচিত হচ্ছে কি? যখন—প্রতিটি পাতা
কুঁচকিয়ে যায়—
এবং পাপড়ি গুলা একে
একে...
ছেড়ে দেয় ভাষা! আর—
আমি ভাবছি—জোনাকির মতো ম্লান।
অথবা—নক্ষত্রগুলা হতে পারে...
ধীর
সর্বোচ্চাধিক এক সমান;
তাই, মহাবিশ্বকে ভয়ংকর
চতুর ভিলেন
বানিয়ে/শানিয়ে... নিচ্ছি;
আগুনের বিস্ফোরিত সম্ভবনা,
সেখানেই।
ফুটে উঠুক অনবরত চিতা
বাঘের মতো
নীল ডোরাকাটা দাগ—
গোলাপের মাঝে... নতুন
সময় ও স্থান।
উদ্দেশ্য পৃথক—
তবু, অসীমকে... সসীম
চোখেই দেখি।
প্রতিবিশ্বে প্রতিলাবণ্য
মাতাল তালপাতার পুরাণ—যতটা কালো
তত কালো নয়!
বিটুমিন ড্রাম! ট্রাম—বাস্তব ঘটনা
হারমানা য়কল্পনা।
[জীবনআনন্দ]
তুমিও কি ছিলে?
শূন্য আয়তনে/একক বিন্দুর
নর্দমার ঘূর্ণিপাকে!
ওখান থেকেও বাইরে বেরিয়ে
আসা যায়,
যায় না শুধুই—একাকীত্বের সরাইরোড।
আমি—আমি ছাড়া তুমি, তুমিময় বিরাজ
রাজস্থানের... পঙক্তির
ঠিক বিপরীত ঘ্রাণ।
~তবুও ~
তুমি—প্রতিবিশ্বে এক প্রতিলাবণ্য
অসুখ।
চিরন্তন বন্দিশালা নয়।
বেরিয়ে পড়লেই...
বিপুল আলোর ঝলকানি!
অতঃপর—নিশ্চিহ্ন! নিশ্চিহ্ন মোলাকাত!
কিছু চিহ্ন থাকে দাসত্বের
ব্লাকহোল স্নাণে।