শরীয়তপুর সাহিত্য সংসদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
পালিত
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপ-সচিব জনাব হুসাইন আলমগীর, উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন। প্রধান আলোচক হিসেবে শরীয়তপুর সাহিত্য সংসদের উপদেষ্টা ও ঢেউ সাহিত্য পত্রিকার প্রধান পৃষ্ঠপোষক জনাব পীরজাদা প্রকৌশলী সৈয়দ গোলাম মুরসালিনের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তিনি অডিও বার্তার মাধ্যমে সংযুক্ত হন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আবদুর রাজ্জাক কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আশিকউজ্জামান, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান সিপন, শরীয়তপুর সাহিত্য সংসদের সহ-সভাপতি প্রাবন্ধিক মো. মজিবর রহমান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি, সম্পাদক, প্রাবন্ধিক ও লোকসংস্কৃতির গবেষক শ্যামসুন্দর দেবনাথ, ভাষাসৈনিক জালাল উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ শরীয়তপুর শাখার সভাপতি কবি মোদাচ্ছের হোসেন, জাতীয় কবিতা মঞ্চ শরীয়তপুর শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট মুরাদ মুন্সি। আরও উপস্তিত ছিলেন কবি ইয়াসিন আযীয, নির্বাহী সম্পাদক, কীর্তিনাশার কাব্য। কবি ও সম্পাদক এসএম স্বপন সরকার, কবি নাসিম জিন্নাহ বালা, কবি ও গল্পকার সুলতান মাহমুদ, কবি খান নজরুল ইসলাম, কবি রুদ্র রহমান, কবি স্বপন মাঝি, কবি পিএম ওয়ালিদ, কবি মো: ফিরোজ ভুইয়া, কবি মোতালেব হোসেন, কবি এস এম আল-আমিন, কবি ইনযিহান উদয় নীরব, কবি বাতেন সিদ্দিকী, কবি মুমু হাসান, কবি মোঃ আব্দুল করিম বেপারী, কবি ডিএম শফিকুল ইসলাম, কবি উদাস আশরাফ, কবি হোসাইন মুহা: দেলোয়ার, কবি টোটন চন্দ্র দাস, কবি ইব্রাহিম খলিল, কবি হোসাইন মোহাম্মদ আরিফ, কবি বেপারী মো: রাশেদ, কবি মোতালেব হোসেন দিব্য, কবি মিজানুর রহমান, কবি আব্দুল্লাহ কাওসার, লেখক মৃধা শফিক, আবৃত্তি শিল্পী হাসান মাসুদ খান, প্রভাষক বিএম সোহেল প্রমূখ। এছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নবীণ প্রবীণ কবি সাহিত্যকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটির শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত
পরিবেশন করা হয়। উদ্বোধকের উদ্বোধনী বক্তব্য এবং শরীয়তপুর সাহিত্য সংসদের
প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান (সুপান্থ মিজান) এর শুভেচ্ছা
বত্তৃতার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শরীয়তপুর সাহিত্য সংসদের সভাপতি এবং
সাহিত্যিক কামরুল হাসান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলা একাডেমি সদস্য ও
শরীয়তপুর সাহিত্য সংসদের সহ-সভাপতি সৈয়দ নাজমুল আহসান। অনুষ্ঠানে শরীয়তপুর সাহিত্য
সংসদ কর্তৃক আয়োজিত গল্প ও কবিতা প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে
কবিতা ও গল্পে বিজয়ী মোট আট জন কবি ও গল্পকারদের সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট, নগদ অর্থ
ও বই প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী আরও ৩২ জনকে বই প্রদান করে
সম্মান জানানো হয়। পাশাপাশি ভাষার মাস হিসেবে ভাষাসৈনিক জনাব জালাল উদ্দিনকে
(জালাল স্যার) সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠা সাধারণ সম্পাদক কবি ও
শিশুসাহিত্যিক মো. মিজানুর রহমান সুপান্থ মিজান প্রতিষ্ঠালগ্নে থেকে এ পর্যন্ত
সংগঠনের সাহিত্য নিয়ে বিভিন্ন কাজের বিবরণ দেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ
করেন। তিনি শরীয়তপুরে প্রতিষ্ঠিত রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরীর নামে যে পাবলিক লাইব্রেরি
আছে সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়াও ২০২৫
সালের মধ্যে শরীয়তপুর সাহিত্য সংসদের পক্ষ থেকে ‘শরীয়তপুর সাহিত্য পদক’ ঘোষণা
করবেন এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তা প্রদান করবেন বলে উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও আলোচকগণ শরীয়তপুরের সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে বেলা একটায় অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। নামাজ ও দুপুরের খাবারের জন্য ০১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের বিরতি দিয়ে বেলা ০২:৩০ মিনিট থেকে দ্বিতীয় অধিবেশনে কবিতা পাঠ ও গান পরিবেশন শুরু হয়ে বিকেল ০৫:০০ পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠান। এছাড়াও শরীয়তপুর সাহিত্য সংসদের মুখপত্র ঢেউ এর সৈজন্য কপি কবি সাহিত্যিক, প্রতিযোগী এবং উপস্থিত সকলের মাঝে বিতরণ করা হয়।