হোসাইন মুহ: দেলোয়ার এর হাফ ডজন ছড়া
বৈরী
ভালোবাসা ভালো দিয়ে
হতো যদি তৈরি
কারো মাঝে আর কোনো দিন
থাকতো না বৈরী।
সবার মাঝে সম্প্রীতিতে
উঠতো গড়ে বেশ
কারো প্রতি কোনো প্রকার
থাকতো না বিদ্বেষ।
সবাই মিলে দেশের ভালো
চাইতো ভালোবেশে
অশান্তি সব চলে যেতো
শান্তি আসতো দেশে।
ছোটো ছোটো শত্রুতা সব
সবাই যেতো ভুলে
সমান হাতে দেশের কাজই
সবাই নিতো তুলে।
ভালোবাসা ভালো দিয়ে
হোক তবে তৈরি
দেশ থেকে ঘুছে যাক
যতো আছে বৈরী।
চাঁদাবাজ
ছিনতাই চাঁদাবাজে
দেশ গিজ গিজ
ওরা যেনো দেশটাকে
নিয়ে গেছে লিজ।
বলা নেই কথা নেই
পিস্তল হাতে
ঠেক দেয় যথা তথা
দিন কিবা রাতে।
বড় বড় অফিসেতে
গিয়ে চাঁদাবাজ
চাঁদা চায় লাখ লাখ
বাধা দিয়ে কাজ।
চাঁদাটা না পেলে হাতে
গোলাগুলি করে
অসহায় মানুষেরা
গুলি খেয়ে মরে।
সাধারণ জনগণ
অসহায় আজ
দেশ থেকে দূর হবে
কবে চাঁদাবাজ?
কবে
হবে সুখ?
খাতা কলম দিলো খুকু
লিখতে হবে ছড়া
লিখবো কি যে বসে থাকি
হাতে কলম ধরা।
ছড়া টরা কিছুই আমার
মাথায় আসে না
দুঃখ ছাড়া কিছুই আমার
চোখে ভাসে না।
যেদিক তাকাই সেদিক দেখি
শুধু খাই খাই
এই সমাজে কষ্ট ছাড়া
আর কিছু নাই।
কিছু লোকের কাছে আছে
শুধু টাকার পাহাড়
বাসন হাতে গরিব মানুষ
খুঁজে ফিরে আহার।
এত্তো কিছু দেখে আমার
মনে লাগে দুখ
গরিব দুখি মানুষ গুলোর
কবে হবে সুখ?
ইসরালি
দুর্বৃত্ত
মরছে শিশু গুলি খেয়ে
মরছে নারী বোমায়
শত শত নারী শিশু
হাসপাতালের কোমায়।
কিন্তু এদের রক্ষা
করতে
কেউ আসে না এগিয়ে
রক্ত চক্ষুর ভয়ে
হয়তো
পড়বে আবার কে গিয়ে।
এমনি করে নারী
শিশু
মরছে গাজায় নিত্য
মারছে যারা তারা
হলো
ইসরাইলি
দুর্বৃত্ত।
মিনার
মসজিদের ঐ মিনার খানা
যখন পড়ে চোখে
পাপের কথা স্মরণ করে
কাঁদি আমি শোকে।
হিতাহিত জ্ঞান থাকে না
যে
আমি কোথায় আছি
ভয়ে আমার চোখের জলে
বুক খানি যায় ভাসি।
পাপের বোঝা মাথায় নিয়ে
করছি কতো খেলা
ভবের মায়ায় মজেই আমি
কাটিয়ে দেই বেলা।
পাপের কথা স্মরণ করে
পাই না খুঁজে কিনার
রাস্তা হতে যখন দেখি
মসজিদের ঐ মিনার।
আমার
ঠিকানা
জন্ম আমার শরীয়তপুর
তাই এই জেলার মাটি
হীরের চেয়ে দামী এটা
সোনার চেয়ে খাঁটি।
দড়িহাওলা গ্রাম খানি
আমার প্রিয় গাঁ
এই মাটিতে শুয়ে আছে
আমার বাবা মা।
সবুজ শ্যামল ছায়ায় ঢাকা
ফসল ভরা মাঠে
কীর্তিনাশা পার হয়ে যাই
আঙ্গারিয়া হাটে।
শিশুকাল যে কাটে আমার
এই গাঁয়েতে খেলে
খুশি হতাম বড়শি পেতে
শোল টাকি পেলে।
শরীয়তপুর আমার
ভালোবাসার
মুক্ত পাখির ডানা
শরীয়তপুরের এই মাটি
যেনো
হয় আমার ঠিকানা
তার ছড়াগুলো ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনযদি মাঝে মাঝে ছন্দের পতন আছে।
একটু খেয়ালি হলে এই সমস্যা ঠিক হয়ে যেত।